

[রাজশাহী, ২৪ মার্চ ২০২৫]: জ্বালানি খাতের স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পরিবর্তন-রাজশাহী, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বিডাব্লিউজিইডি-এর যৌথ উদ্যোগে আজ রাজশাহীর ওয়ারিসন হোটেল-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে "বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা সভা"। আলোচনা সভায় জ্বালানি খাতের বিকল্প সম্ভাবনা, স্বল্প-মেয়াদি ও দীর্ঘ-মেয়াদি পরিকল্পনা এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ যৌথভাবে উপস্থাপন করেন ক্লিন-এর পরিচালনা সমন্বয়কারী জনাব মাহবুব আলম প্রিন্স এবং প্রচারাভিযান সমন্বয়কারী সাদিয়া রওশন অধরা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় সাদিয়া রওশন বলেন- ‘যদি আমরা কেবলমাত্র ১০% জলাশয় ব্যবহার করি, তাহলে ২১,০০০ মেগাওয়াট ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা সম্ভব। এসব ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বছরে মোট ৩৪,০৩৩ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে।’
জনাব মাহবুব আলম উক্ত সভায় উল্লেখ করেন যে- ‘আবাসিক ভবনের ছাদে ২৫,০০০ মেগাওয়াট ছাদভিত্তিক সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করে বছরে ৪৮,৬২০ মেগাওয়াট (MW) বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। গৃহস্থালী পর্যায়ে ৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত ব্যক্তিগত ছাদে সৌরবিদ্যুৎ এবং ক্ষুদ্রাকৃতির নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থার জন্য ভর্তুকি প্রদান করা আবশ্যক। এই টেকসই ও দক্ষ জ্বালানি পরিকল্পনার কৌশলগত পরিবর্তন জীবাশ্ম জ্বালানির সম্প্রসারণকে কমিয়ে আনবে।’
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: মহিনুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), রাজশাহী। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সপ্তর্ষী পাল, ডিজিএম, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড, রাজশাহী, মোঃ মাহবুবুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী, নেসকো, ডঃ এ এন কে নোমান, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, এবং গোলাম মোস্তফা মামুন, সাধারন সম্পাদক, ক্যাব রাজশাহী। উক্ত অনুষ্ঠানে সভা-সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন জনাব রাশেদ ইবনে ওবায়েদ রিপন, নির্বাহী পরিচালক, পরিবর্তন- রাজশাহী।
আলোচনা সভায় সম্মানিত বক্তারা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিকল্প সম্ভাবনা, নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।