November 11, 2023
Factsheet
কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করো
২০১৯ সালে ৩০ কোটি ডলারের (দুই হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা) বিনিময়ে সামিট গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়ে জেরা বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে। এ কোম্পানির মালিকানায় মহেশখালীতে বার্ষিক ৩৭ লাখ ৬০ হাজার টন (দৈনিক ৫০ কেটি ঘনফুট) সক্ষমতার একটি ভাসমান টার্মিনাল আছে। গ্যাস সরবরাহ করা হোক বা না হোক, এলএনজি টার্মিনাল বাবদ প্রতিদিন ২ লাখ ১৭ হাজার ডলার (বার্ষিক ৮৭১ কোটি ২৫ লাখ টাকা) ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। মালিকানার হার অনুসারে জেরা গত চার বছরে (২০১৯-২০২৩) ৬৮৬ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ গ্রহণ করেছে। সামিট পাওয়ারের ২২ শতাংশ শেয়ার অনুযায়ী জেরা ৪৩১ মেগাওয়াট উৎপাদন-ক্ষমতার মালিকানা ভোগ করে। এছাড়া ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের (এক হাজার ৪৭১ কোটি টাকা) বিনিময়ে রিলায়েন্স পাওয়ার কোম্পানির মালিকানাধীন মেঘনাঘাট ৭৫০ মেগাওয়াট ( প্রকৃত ৭১৮ মেগাওয়াট) এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। এছাড়া কোম্পানিটি এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এডিবি (ADB), জাইকা (JICA), এসএমবিসি (SMBC), মিজুহো ব্যাংক (Mizuho) ও এমইউএফজি ব্যাংকের (MUFG) কাছ থেকে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার (পাঁচ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা) ঋণের ব্যবস্থাও করে দেয়। বিদ্যুৎকেন্দ্র বিক্রির টাকা দিয়ে রিলায়েন্স পাওয়ার খেলাপি হয়ে যাওয়া আমেরিকান এক্সিম ব্যাংকের তিন হাজার কোটি রুপি (৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার) ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র কেনার মধ্য দিয়ে একদিকে জেরা একটি ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে, অন্যদিকে ৩৫২ মেগাওয়াট জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কার্বন নির্গমনের ভিত্তি স্থাপন করে।